• ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার ৩১ মে ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Winter

রাজ্য

শীতের শুরুতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার খেঁজুর গাছের রস সংগ্রহে ব্যস্ত গাছিরা

শির শিরে হিমেল হাওয়া ও হালকা কুয়াশায় দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় এখন প্রাক শীতের আমেজ চলছে। শীতের মৌসুম শুরুর সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ, শুরু হয়েছে শীতের মধু, খেঁজুর রস আহরণ। এই রস আহরণে গাছিরা (খেঁজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহকারি) এখন যাবতীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ মসসুমে আবহমান বাংলায় খেঁজুর রস আহরণ, খেঁজুর গুড় আর নবান্নের উত্সব একটি প্রাচীন ঐতিহ্য। আর খেঁজুর রসের পিঠা পায়েস বাংলার উপাদেয় খাদ্য তালিকায় এখনও বেশ জনপ্রিয়, সর্বপরি নলেন গুরের পাটালি।গাছিরা জানান, বছরজুড়ে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে থাকলেও শীতকালে চাষিদের কাছে খেঁজুর গাছের কদর বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। কারণ এ গাছ থেকেই আহরিত হয় সুমিষ্ট রস। আর এ রস জ্বালিয়ে ঝোলা গুড়, দানা গুড় ও পাটালি তৈরি করা হয়। খেঁজুরের গুড় থেকে এক সময় বাদামি চিনিও তৈরি করা হতো। যার মৌতানো স্বাদ ও ঘ্রাণ সর্ম্পূণ ভিন্ন। খেঁজুর গাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- যত বেশি শীত পড়বে তত বেশি মিষ্টি রস দেবে। শীতের সকালে খেঁজুর রস পান শরীর ও মনে প্রশান্তি এনে দেয়। খেঁজুর রস আহরণ আর তার থেকে বিভিন্ন উপাদেয় খাদ্য তৈরি আবহমান বাংলার সংস্কৃতির অনুষঙ্গ। খেঁজুরের নলেন গুড় ছাড়া শীত মৌসুমের পিঠা খাওয়া জমেনা।দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কৃষকরা নতুন ধান সংগ্রহের পাশাপাশি খেঁজুর রস আহরণের প্রস্তুতি শুরু করেছে। এখন চলছে খেঁজুর গাছের ডগা চাঁচার কাজ। এরপর সেই পরিষ্কার ডগায় বাঁশের তৈরি বিশেষ নল লাগিয়ে সংগ্রহ করা হবে ফোঁটা ফোঁটা রস। মাটির হাঁড়িতে খেঁজুর রস সংগ্রহ করা হয়। তবে আজকাল প্লাস্টিকের বোতলেও খেঁজুর রস আহরণ করে চাষিরা। শীতের পুরো মরশুম জুড়ে চলবে রস, গুড়, পিঠা-পুলি, পায়েস খাওয়ার পালা। আর কিছুদিন পর নতুন গুড়ের মিষ্টি গন্ধে ধীরে ধীরে আমোদিত হয়ে উঠবে গ্রাম-বাংলা। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বাউল এলাকার গাছি মিন্টু বসাক জনতার কথা কে জানান, গাছের ডগা চেঁচে বাশের খিল লাগানোর কাজ চলছে। অল্পদিনের মধ্যেই রস আহরণ পর্ব শুরু হবে। খেঁজুর গাছ আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এর পরিকল্পিত আবাদ তেমন নেই। উপরন্তু নির্বিচারে খেঁজুর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। যা পল্লী বাংলার পরিবেশের জন্য বেশ ক্ষতিকর। খেঁজুর গাছ থেকে শুধু সুমিষ্ট রস ও গুড়ই হচ্ছে না, প্রকৃতির ভারসাম্য সুরক্ষায় খেঁজুর গাছের আবাদ সম্প্রসারণ জরুরি।প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা সমাগত। বাঙালির এ সময়ের অন্যতম আকর্ষণ খেঁজুর গুড়ের পিঠা-পায়েশ। প্রাচীনকাল থেকেই খেঁজুর গুড়ের জন্য গ্রাম বাংলা বিখ্যাত। দিন বদলের সঙ্গে মানুষের জীবন-যাত্রায় অনেক কিছু বদলে গেলেও বদলায়নি খেঁজুরের রস সংগ্রহ এবং গুড়-পাটালি তৈরির পদ্ধতি। তাই শীতের আগমনী বার্তা জানান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এখানকার গাছিরা প্রস্তুতি নেন খেঁজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহের। এ জন্য প্রথমেই খেঁজুর গাছ কেটে পরিষ্কার করেন তারা। এরপর শুরু হয় রস সংগ্রহ। চিরাচরিত পদ্ধতিতে মাটির ভাঁড়ে (কলসি) রাতভর রস সংগ্রহ করা হয়। সূর্য ওঠার আগেই তা আবার গাছ থেকে নামিয়ে আনে তারা। পরে এই রস মাটির হাঁড়িতে কিংবা টিনের তৈরি কড়াইয়ে জ্বালিয়ে তৈরি করে গুড়-পাটালি। ইতিমধ্যে জেলার নানান জায়গায় শুরু হয়েছে গুড়-পাটালি তৈরির সেই প্রক্রিয়া। গাছিরা এখন কাজের ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটাচ্ছেন। অল্প দিনের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে নতুন খেঁজুর গুড়।গ্রামে গ্রামে পড়ে যাবে খেঁজুরের রস দিয়ে পিঠা, পায়েশসহ নানা মুখরোচক খাবার তৈরির ধুম। শীতের আগমনী বার্তা গ্রামবাংলায় নিয়ে আসে নানা রকম সুস্বাদু খাবারের সমাহার। বিভিন্ন রকমের খাবারের মধ্যে গ্রামবাংলায় শীতের প্রধান অনুষঙ্গ সুস্বাদু খেঁজুরের রস। সেই রসে তৈরি পাটালি গুড় আর শীতের রকমারি পিঠাপুলি সবার মন ভরিয়ে দেয়। লোভনীয় খেঁজুর রসের জোগান দিতে এখন থেকেই ব্যস্ত গাছিরা। চলছে খেঁজুর গাছ চাঁচা-ছোলার কাজ। সেসব গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, দল বেঁধে গাছিরা খেঁজুর গাছ পরিষ্কারের কাজ করছেন। মরশুমের শুরুতেই বাজারে পাটালি গুড় ও খেঁজুর রস ওঠে গাছিদের আগাম গাছ ঝোড়ার কারণে। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কোমরে মোটা রশি বেঁধে ঝুলে ঝুলে খেঁজুর গাছ ঝুড়ে মাথায় চাঁচ দিচ্ছেন। এ গ্রামের পেশাদার গাছিদের পাশাপাশি গৃহস্থরাও বসে নেই, নিজের গাছ তৈরি করছেন তারা। দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর ও গঙ্গারামপুরের যথাক্রমে বড়াইল, শেরপুর, শিববাড়ি ও সর্বমঙ্গলা গ্রামের কয়েকজন গাছিরা জানান, কার্তিক মাসের শুরু থেকেই খেঁজুর গাছের পরিচর্যা চলছে। গাছের বাইগা (ডাল) ঝোড়া, গাছের মাথা ছেনি অথবা ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে কয়েক দফা চাঁচ দেওয়ার কাজ চলছে। রস জ্বালানো ভাটি, জ্বালানি ও রসের ঘটি সংগ্রহের কাজ শেষের দিকে। আরেক গাছি নীরদ সরকার বলেন, এই গ্রামের খেঁজুর রস ও পাটালির সুনাম আছে। তাই আমরা আগাম কাজ করি। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় এখানকার গুড় বিক্রি হয়। জেলার গ্রামীণ মেঠোপথের ধারেই রয়েছে সারি সারি খেঁজুর গাছ। তাই এ অগ্রহায়নের বিকেলের দিকে গ্রামের যে পথেই হাঁটা যাক না কেন, চোখে পড়বে খেঁজুর গাছ ঝোড়ার অপূর্ব দৃশ্য। অগ্রহায়ণের প্রথম সপ্তাহেই গ্রামের ঘরে ঘরে খেঁজুর রস আর গুড় দিয়ে নতুন আমন ধানের পিঠা-পুলি ও পায়েশ তৈরির ধুম পড়বে। আসন্ন পৌষপার্বন-পুষনা বা পীঠেপুলির উত্সবে এই খেঁজুর গুড় ও রস নতুন মাত্রা আনবে গ্রামের গৃহস্থদের রসুইখানায়।

নভেম্বর ১৭, ২০২৩
রাজ্য

কুয়াশায় ঢাকল শহর, দৃশ্যমানতা ৫০ মিটারের কম, ব্যাহত যান ও বিমান চলাচল

সকালে কুয়াশায় ঢাকল মহানগরীর মুখ। দৃশ্যমানতা ছিল ৫০ মিটারের কম। যে কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, দৃশ্যমানতা কম থাকায় বেশ কিছু বিমান ছাড়তে দেরি হয়।সোমবার ভোরে শহর কলকাতার আকাশ শীতকালের মতোই কুশায়া ঢাকা ছিল। যে কারণে দৃশ্যমানতার সমস্যা তৈরি হয়। রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যায় পড়েন গাড়ি চালকরা। ভোরের দিকে বেশ কয়েকটি বিমানের উড়ানে দেরি হয়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই সমস্যা আগামী কয়েক দিন থাকবে। সোমবার কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকার সর্বোচ্চ তামমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা কি না স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম।সোমবার ভোরে কুয়াশা এবং রবিবার রাতে তামমাত্রার পতন অনুভব করে অনেকের মনেই প্রশ্ন এসেছে ফের কি ফিরবে শীত? তবে হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, তাপমাত্রার ওঠানামা চললেও শীত ফেরার আর কোনও সম্ভাবনা নেই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বসন্তকালের বৈশিষ্ট অনুযায়ী হালকা শীতের আমেজ থাকলেও আর নতুন কোনও ঠান্ডা পড়ার সম্ভাবনা নেই। শীত ফিরছে না। রবিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও রাজ্যের কোথাও সে ভাবে বৃষ্টি হয়নি।

ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

ঝাড়খণ্ডে তৈরি ঘূর্ণাবর্তের জেরে সপ্তাহান্তে বৃষ্টির ইঙ্গিত বঙ্গে

আর মাত্র একদিন। তারপর উধাও হতে চলেছে। শুক্রবারের পর শনিবার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। বসন্ত সমাগমের এই আবহে বর্ষণের সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গের একাংশে। সম্ভাব্য এক ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ফের এক দফা বৃষ্টি শুধু নয়, রীতিমতো বজ্রগর্ভ মেঘ সৃষ্টির ইঙ্গিত দেখছে হাওয়া অফিস।শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা দুডিগ্রি নীচে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা-ও দুডিগ্রি কম।আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, রবিবার কলকাতা-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তেমন বৃষ্টি হবে না। আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, ঝাড়খণ্ডের উপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। তার টানে বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণবঙ্গের পরিমণ্ডলে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে। এবং সেই জলীয় বাষ্প থেকেই স্থানীয় ভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হতে পারে।শীত ভাল করে অনুভূত হওয়ার আগেই বিদায় নিয়েছে। বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে, অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদদের একাংশ। শনিবার থেকেই মেঘে ঢাকতে শুরু করবে আকাশ। রবি ও সোমবার রাজ্যের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

বিদায়ের আগে মাঘের শেষে বঙ্গে হিমেল পরশ

মাঘের শেষে বঙ্গে হিমেল পরশ। বেশ ভালই অনুভূত হচ্ছে । পশ্চিমী ঝঞ্ঝার রেশ কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে শীত। তবে সেই শীতও আর স্থায়ী হবে না। অর্থাৎ, বঙ্গে কার্যত শীত বিদায় নেবে অকালবৃষ্টির সৌজন্যে, অন্তত এমনটাই বলছেন আবহবিদদের একাংশ। আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস বাংলায় । নেপথ্যে ফের এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চচাপ বলয়। আর এই দুইয়ের জোড়া ঠেলায় রাজ্যে ঢুকবে জলীয় বাষ্প। আর তার জেরে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। রবিবার ও সোমবার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্জা কাটিয়ে তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নমুখী। বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের আমেজ ছিল রাজ্যজুড়ে। বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯২ শতাংশ। বুধবারও তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। আপাতত শনিবার পর্যন্ত বিশেষ তাপমাত্রার পরিবর্তন হবে না। তবে, রবিবার থেকে ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করবে তাপমাত্রা।এই দুই বিপরীতধর্মী বাতাসের সংঘর্ষের ফলে রাজ্যের আকাশে বজ্রগর্ভ মেঘের সৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি এখন ফেব্রুয়ারি অর্ধেক অতিক্রম করে আমরা এখন মার্চের দিকে যাচ্ছি। ফলে কালবৈশাখীর মতো ঝড়ের উপদ্রব হতে পারে। তবে, ধীরে ধীরে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই রাজ্যে গ্রীষ্ম অনুভূত হতে শুরু করবে। মরশুমি হিসেবে শীতের বিদায় নেওয়ার পালা এসে গিয়েছে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
রাজ্য

আজ শহরতলীতে ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে

জাঁকিয়ে মরশুমি শীতের আশা কার্যত ছেড়েই দিয়েছে বঙ্গবাসী। একটানা পর পর পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে শীত কার্যত ছুটি নিয়েছে। শেষ মাঘেও কার্যত বৃষ্টি। খনার বচন বলে, ধন্য রাজার পুণ্য দেশ, যদি বর্ষে মাঘের শেষ। বৃহস্পতিবারও গোটা রাজ্যেই ফের বৃষ্টি হতে পারে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আর কয়েকঘণ্টার মধ্যেই কলকাতা-সহ সমস্ত শহরতলীতেই ঝেঁপে বৃষ্টি আসতে চলেছে।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এদিকে রাজ্যে আগামী কয়েকদিনে, শীতের প্রভাব আরও কমবে। রাতের তাপমাত্রা আগামী তিন দিনে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। একইসঙ্গে বৃষ্টির দাপট দেখা যাবে উত্তরের জেলাগুলিতেও। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পঙের মতো পাহাড়ি জেলাগুলিতে আগামী তিন থেকে চার দিন হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।জানা গিয়েছে,বৃহস্পতিবার, কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। ইতিমধ্যেই বাতাসে ঝঞ্ঝার প্রভাবে বেড়েছে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ। কলকাতায় এদিন বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। গোটা দিনই মেঘলা থাকবে আকাশ। আপাতত শীত ফিরছে না বঙ্গে।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
রাজ্য

শীতের আমেজেই ফের বৃষ্টির আশঙ্কা

তাপমাত্রা বাড়লেও রাজ্যে বজায় শীতের আমেজ। তবে শীত স্থায়ী হবে না বেশিদিন। বৃহস্পতিবার থেকেই আবারও বৃষ্টিতে ভিজবে বাংলা। সেই সঙ্গে বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও। তবে, বুধবার পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া মোটের উপর শুষ্কই থাকবে। তবে এখনই রেহাই নেই। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের ভিজতে পারে দক্ষিণের জেলাগুলি। এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৯ ডিগ্রি সেলিসয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। মঙ্গলবার বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৭ শতাংশ। আগামিকাল তাপমাত্রা বাড়লেও বিশেষ হেরফের হবে না। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে রোদের দেখা মিলবে। রাজ্যে ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট। বুধবার বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিমাঞ্চলে জেলাগুলোতে। বৃহস্পতিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতে বৃষ্টি হবে। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২২
রাজ্য

যাওয়ার আগে বঙ্গে হালকা শীতের ছোবল, ফের ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটিতে শীত বিদায়ের বার্তা?

শেষ মাঘে অবশ্য বঙ্গে শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং। আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হবে শীত। কিন্তু, তার আয়ু খুব বেশিদিন নয়। চলতি সপ্তাহেই বৃহস্পতিবার থেকেই ফের বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। রয়েছে আরও একটি ঝঞ্ঝার আশঙ্কাও। গত সপ্তাহেও শুক্রবার গোটা দিন দুই বঙ্গেই বৃষ্টি হয়েছে। শনিবার থেকে ধীরে ধীরে কমে বৃষ্টির প্রকোপ। জেলায় ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হলেও কলকাতা ও শহরতলী মোটামুটিভাবে বৃ্ষ্টিহীনই ছিল। দেখা মিলেছে রোদের। সরস্বতী পুজোতেও কোনও বাধা পড়েনি।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সোমবার বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আগামী বেশ কয়েকদিন শীত থাকবে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে তাপমাত্রার পারদ নিম্নমুখী থাকবে। জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির কাছাকাছিও হতে পারে। সোমবার সকালের দিকে হালকা কুয়াশা থাকতে পারে।রবিবার থেকেই আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। সরস্বতী পুজোর হাত ধরে বঙ্গে মৃদু শীতের প্রত্যাবর্তনও হয়েছে। ২-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমেছে তাপমাত্রা। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রাজ্যে মৃদু শীতের আয়ু সাময়িক। ৮ ও ১০ তারিখ উত্তর পশ্চিম ভারতে ফের ঝঞ্ঝার ভ্রুকুটি। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফের বঙ্গে মেঘ ঢুকবে। ফলে বৃষ্টিরও সম্ভাবনা থাকছে দুই বাংলায়।

ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
রাজ্য

বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে রৌদ্রজ্জ্বল সবরস্বতীপুজো, এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি পারদ পতন

বৃষ্টির ভ্রুকুটি কাটিয়ে অবশেষে কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে সরস্বতী পুজোর অনুকুল আবহাওয়া। একলাফে অনেকটাই কমল তাপমাত্রাও।সরস্বতী পুজোর দিনে স্বস্তি দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ বীরভূম জেলায় আজ পুজোর দিনেও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গেও আজ বৃষ্টির সম্ভাবনা। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এই পাঁচ জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টি। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। রবিবার থেকেই ছন্দে ফিরবে শীত। অন্তত এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৩ ডিগ্রি থেকে কমে সোজা ২৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রায় এক ধাক্কায় ৪ ডিগ্রি পারদপতন। কমেছে রাতের তাপমাত্রাও। ১৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে রাতের তাপমাত্রা প্রায় ৩ ডিগ্রি কমে হয়েছে ১৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাতের তাপমাত্রা আরও কমবে কলকাতায়। দিনের তাপমাত্রা অবশ্য সামান্য বাড়বে। সদ্য বঙ্গে আগত পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হরিয়ানা থেকে বিহার পর্যন্ত পূর্ব-পশ্চিম অক্ষরেখা কাল বিকেলের পর শক্তি হারিয়েছে। এর ফলে আবহাওয়ার পরিবর্তন।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত রবিবার থেকে ছন্দে ফিরবে শীত। ফের শুষ্ক হবে পরিবেশ। রবিবার রাত থেকেই ফের পারদ পতন শুরু হবে। রবি ও সোমবার একধাক্কায় ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা নামতে পারে। যার জেরে ফিরবে শীতের আমেজ। তবে শীত কতদিন স্থায়ী হবে, তা এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারেননি আবহাওয়াবিদরা।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২২
রাজ্য

আরও কমল তাপমাত্রা, মেঘলা আকাশ, ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি!

ক্রমশ কমে আসছে শীতের আয়ু। একধাক্কায় ফের বাড়ল তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। শুক্রবার থেকেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবারও হতে পারে বৃষ্টি। হাওয়া অফিস বলছে, পিছু হটতে পারে শীত। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ উভয় ক্ষেত্রেই আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে। বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে থেকে হালকা বৃষ্টি শুরু হবে। মূলত বেশি বৃষ্টি হবে ৪ ফেব্রুয়ারি।৪ ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলাতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। দুএক জায়গায় ভারী বৃষ্টি হবে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। এর পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় শিলা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে । শনিবারও উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। রাতের তাপমাত্রা আগামী দিনে আরও দুই ডিগ্রি বাড়বে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার আকাশ আংশিক মেঘলাই থাকবে। সন্ধেবেলা বা রাতে বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বোচ্চ পরিমাণ ৯৮ শতাংশ ও সর্বনিম্ন ৩২ শতাংশ।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গেও বৃহস্পতিবার হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বৃষ্টি হবে। এর পাশাপাশি পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মোটের উপর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার।

ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
রাজ্য

কুয়াশামাখা শীত হাতেগোনা আর কয়েকদিন! জানাল হাওয়া অফিস

আবহবিদরা বলছেন, আর বেশিদিন নয়, শীত গিয়ে ফের বৃষ্টি আসছে। আগামিকাল থেকেই বদলাবে আবহাওয়া। শুক্রবার থেকেই বৃষ্টি হতে পারে সর্বত্র। শনিবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কবে তাহলে, ঝঞ্ঝা কাটিয়ে শীত, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না হাওয়া অফিস।বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। এতগুলি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার অসময়ে বঙ্গে আগমন ও গমন কোনওভাবেই এ রাজ্যের জন্য ভাল নয় বলেই জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল থেকেই বদলাবে হাওয়া। একধাক্কায় ৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে তাপমাত্রা। শুক্রবার থেকেই শুরু হবে বৃষ্টি। বঙ্গ জুড়ে শনিবার সকালেও হবে বৃষ্টি। ফলে ফের পিছু হটবে শীত। কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টি হবে।বুধবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার পর্যন্ত পারদ পতন হলেও বুধবার ফের স্বাভাবিক হয়েছে তাপমাত্রা। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা সর্বোচ্চ ৯৮ শতাংশ। সকালের আকাশে কুয়াশার প্রার্দুভাবও থাকবে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশা কেটে গিয়ে রোদের দেখা মিলবে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
রাজ্য

জাঁকিয়ে শীত থাকলেও মঙ্গলবার থেকে বাড়তে পারে তাপমাত্রা

বঙ্গে জাঁকিয়ে পড়েছে শীত। রোজই পারদ নিম্নমুখী। রবিবার রাতেও একাধাক্কায় তিন ডিগ্রি নামল পারদ। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত শীত থাকলেও বেশিদিনের সঙ্গী হবে না। ৩ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই বদলাবে হাওয়া। মাঘের মাঝমাঝিতে বেশ শীত থাকলেও ফের একটি ঝঞ্ঝা পূর্ব ভারতের দিক থেকে আসায় মঙ্গলবার থেকে শীতের দাপট কিছুটা কমবে। আকাশে মেঘ ঢুকতে থাকায় দিনের তাপমাত্রা কমলেও ব্যাহত হবে রাতের পারদ পতন। সেই সঙ্গে বাধা পাবে উত্তুরে হাওয়া। তবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, সরস্বতী পুজোর পর ফের ফিরতে পারে শীত।আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত চলতি সপ্তাহে স্থায়ী হবে শীত। তবে সপ্তাহান্তে ৪ ফ্রেবুয়ারি থেকে বদলাতে শুরু করবে আবহাওয়া। বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৪ ও ৫ তারিখ সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি ও জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ও তামিলনাড়ুতে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় গাঙ্গেয় বঙ্গে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে। তার জেরেই আগামী ৪ ও ৫ ফেব্রুয়ারি ফের বৃষ্টিপাত হতে পারে। এদিকে ৫ তারিখই সরস্বতী পুজো। তাই ছাতা ছাড়া পুজোর ঘোরাফেরা মাটি হতে পারে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা।

জানুয়ারি ৩১, ২০২২
রাজ্য

এক ধাক্কায় পারদ নামল তিন ডিগ্রি! স্থায়ীত্ব নিয়ে ফের চিন্তায় হাওয়া অফিস

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কবলে পড়ে এই বছর দফারফা হয়েছে শীতের। বৃহস্পতিবারের থেকে শুক্রবার সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রি কমেছে। শুক্রবার থেকে সোম জাঁকিয়ে শীত পড়তে চলেছে বাংলায়। তেমনই বার্তা দিল আলিপুরের আবহাওয়া দপ্তর। শুক্রবার পারদের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকতে পারে বলেই আবহবিদরা জানিয়েছেন। জেলায় পারদ নামতে পারে ১০-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে, বেশ জাঁকিয়েই অনুভূত হবে শীত।ধীর গতিতে আসা শীত আপাতত বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে। কিন্তু, কতদিন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আরও একটি ঝঞ্ঝার কোপে ও বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। মাঘের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে অর্থাৎ সরস্বতী পুজোয় ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।তবে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বাড়তে পারে তাপমাত্রা। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মাঝারি বৃষ্টিপাত শীতের শেষটুকু বাঁচানোর চেষ্টা করলেও দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে রাজ্য থেকে পাকাপাকি ভাবে বিদায় নেবে শীত। দাপট কমবে কনকনে উত্তুরে বাতাসের। সেই জায়গা নেবে দখিনা বাতাস। রাজ্যে আগমন হবে বসন্তের। তামিলনাড়ুর উপরেও তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। তার প্রভাবে সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টি হতে পারে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

উত্তুরে হাওয়ায় শীত ফিরছে বঙ্গে, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের

শীতের কামর ফিরতে চলেছে বঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আশ্বাস দিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে বড় মাপের পারদ পতনের সম্ভাবনা আছে। তিন দিনে উত্তর এবং দক্ষিণ রাজ্যের দুই অর্ধের বিভিন্ন জেলায় রাতের তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এরই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সকালে কুয়াশারও সম্ভাবনা আছে কোনও কোনও জেলায়।পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা কাটিয়ে ফিরছে শীত। ধীর গতিতে আসা শীত আপাতত বেশ কিছুদিন স্থায়ী হবে। কিন্তু, কতদিন তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। কারণ, আরও একটি ঝঞ্ঝার কোপে ও বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জ্বলীয় বাষ্প তৈরি হওয়ায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ও ৫ ফেব্রুয়ারি মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কাও রয়েছে।বারবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কোপে পিছু হটেছে শীত। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জলবায়ু। যার প্রভাব পড়বে চাষে। ফলস্বরূপ বাজারেও পড়বে টান। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের হ্যাজার্ড অ্যাটলাস বলছে, বঙ্গে বারবার এভাবে আবহাওয়ার ঘনঘন পরিবর্তন প্রভাব ফেলবে জলবায়ুতেও। যার জেরে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ বাড়বে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে। এই তিন জেলায় রয়েছে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাও। খরা দেখা দিতে পারে বীরভূম ও নদিয়ায়। গোটা রাজ্যেই হতে পারে অতিবৃষ্টিও।বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে যা ৩ ডিগ্রি বেশি। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে দুডিগ্রি বেশি। দমদমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আরও বেশি, ১৭.২ ডিগ্রি।

জানুয়ারি ২৭, ২০২২
রাজ্য

রাজ্যে কাটছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট, ফের পারদ পতন রাত থেকে, কাঁপছে উত্তর ভারত

রাজ্যে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাব কাটতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের একাংশে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতা-সহ বাকি জেলাগুলিতে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। সঙ্গে থাকবে কুয়াশা। মঙ্গলবার থেকেই কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে রাতের তাপমাত্রা ফের এক বার নামতে শুরু করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী তিন দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২-৪ ডিগ্রি নামতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। তবে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় আরও দিন দুয়েক বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার পর থেকে সেখানে পারদ পতন শুরু হতে পারে।আলিপুরের হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির ঘরে ঘোরাফেরা করবে। কলকাতার আকাশ প্রধানত মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। সকালে থাকবে কুয়াশার দাপট।এদিকে উত্তর পশ্চিম ও মধ্য ভারত নিয়ে ফের সতর্কতা জারি করল আবহাওয়া দপ্তর। নয়াদিল্লির মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন তাপমাত্রা ক্রমশ কমবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত ও মহারাষ্ট্রের কিছু অংশে। রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রা কমলেও আপাতত এখানকার জন্য শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়নি। দিল্লির জন্য শীতল দিনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।মঙ্গলবার সকালে কুয়াশায় ঢাকা দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। পঞ্জাবের বেশ কিছু অংশে কুয়াশা থাকলেও তাপমাত্রা নেমেছে সাত ডিগ্রিতে।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টি, ঘন কুয়াশায় ঢাকল রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ

পূর্বাভাস ছিলই। সেই পূর্বাভাস মতো শনিবার থেকে শহরে শুরু হল বৃষ্টি। ভোর থেকে কলকাতার আকাশের মুখ ভার। ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ছিল খুবই কম। বেলা একটু গড়াতেই শুরু হল বৃষ্টি। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জেরে বাড়ল রাতের তাপমাত্রা। হাওয়া অফিসের খবর, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও নিম্নচাপ অক্ষরেখার কারণে এই বৃষ্টি এবং পারদের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া। শুধু কলকাতাই নয়, একাধিক জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া দপ্তর। বৃষ্টি কাটিয়ে কবে ফের মিলবে শীতের দেখা তা নিয়েও রয়েছে আশঙ্কা।আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে প্রচুর পরিমাণে জ্বলীয়বাষ্প বঙ্গে প্রবেশ করায় আগামী ৪৮ ঘণ্টা কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেই বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত হবে উত্তরবঙ্গের জেলাতেও। সিকিম ও দার্জিলিঙে তুষারপাতের আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতা ছাড়াও হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আগামী দুই দিনেও আবহাওয়ার বিশেষ পরিবর্তন হবে না বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি।আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, হুগলি, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়বে। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও একই পূর্ভাবাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে দার্জিলিঙের উঁচু জায়গা অর্থাৎ সান্দাকফু এবং টাইগার হিলসে তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। অসময়ের বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে বলেও অশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে। এ সবই হচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কারণে, যা উত্তুরে হাওয়ার গতি রুদ্ধ করছে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত যা বঙ্গোপসাগর হয়ে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত যাওয়ার সময় দক্ষিণবঙ্গে প্রচুর জলীয় বাষ্প রেখে দিয়ে গিয়েছে।

জানুয়ারি ২২, ২০২২
রাজ্য

কিছুটা বাড়ল তাপমাত্রা, আজ থেকেই বৃষ্টি? কী বলছেন আবহবিদরা?

আপাতত বঙ্গ জুড়ে শীতের আমেজ। গত কয়েকদিন ধরে ক্রমেই নিম্নমুখী পারদ। তবে এখানেই শেষ নয়, পরের পর ঘূর্ণিঝড় কেন ইদানিং বাংলার উপকূলে হানা দিচ্ছে তা নিয়েও বিশেষ পর্যবেক্ষণ চলছে। সব মিলিয়ে বঙ্গে বৃষ্টি বিপদ এখনও কাটানো যাচ্ছে না।আলিপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে দুদিন। রাতের তাপমাত্রার ক্ষেত্রে এখনই বিশেষ কোনও পরিবর্তন নেই বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে দুদিন পর থেকে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। অর্থাৎ, শীত কমবে। উত্তরবঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা।হাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষণ আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার কলকাতায় আরও বেশ খানিকটা পারদ পতন হয়েছে। এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। বাতাসে সর্বোচ্চ আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হয়েছে শীত। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। রাতেও ক্রমেই কমছে তাপমাত্রা। জেলাগুলিতেও পারদ ক্রমেই নিম্নমুখী।ইতিমধ্যেই পূর্বাভাস অনুযায়ী, জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। পশ্চিম মেদিনীপুরে সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। দেখা নেই রোদের। শুরু হয়েছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও। শুধু মেদিনীপুর নয় বৃষ্টি হওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ২২ জানুয়ারিও পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। অন্যান্য জেলাগুলিতেও ওইদিন আকাশের মুখ ভার থাকতে পারে।

জানুয়ারি ২১, ২০২২
রাজ্য

মাঘের শীতে কাঁপছে বাংলা, সপ্তাহান্তে বৃষ্টির পূর্বাভাস

মাঘের বাঘা শীতে কাঁপছে বাংলা। বৃহস্পতিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রি। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ কুয়াশা ঘেরা সকালে ভালই শীত টের পাচ্ছেন বাঙালি। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এই শীত আর কত দিন? হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তেই শীত কমে নামতে পারে বৃষ্টি। শুক্রবার থেকে আকাশে জমতে শুরু করবে মেঘ। বা়ড়তে থাকবে তাপমাত্রা।বৃহস্পতিবার যদিও কিছুটা শীতের আমেজ রয়েছে কলকাতায়। ১৩.৩ ডিগ্রি থেকে তাপমাত্রা নেমে হয়েছে ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। কিন্তু আগামীকাল থেকে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি রাজ্যে। ২১ তারিখ দুই মেদিনীপুর এবং দুই ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ ২২ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস ।এর আগেও দুটি ঝঞ্ঝা এবং ঘূর্ণাবর্তের হানায় বঙ্গে শীত মুখ থুবড়ে পড়ে বৃষ্টি হয়েছিল। আবহবিদদের মতে, আগামিকাল, শুক্রবার রাজ্যের আকাশে মেঘ জমতে শুরু করবে। কিছু এলাকায় বৃষ্টিও হতে পারে। শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তুলনায় বেশি বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এর জেরে রাতের তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।দুই বঙ্গেই ২৩ এবং ২৪ জানুয়ারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতাতেও সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণ বঙ্গে মাঘের শীতে থাবা বসাতে চলেছে বৃষ্টি। এই আচমকা বৃষ্টির কারণ হিসেবে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য হাওয়ার গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে। আর এর সঙ্গে বঙ্গোপসাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ হাওয়ার মিশেলে ফের ভিজতে চলেছে রাজ্য।

জানুয়ারি ২০, ২০২২
রাজ্য

ফের একবার দাপট দেখাচ্ছে শীত, তবে স্থায়ীত্ব নিয়ে চিন্তায় হাওয়া অফিস

গত দিনদুয়েক বঙ্গে কেবল হিমেল আমেজ। বুধবারও আরও একবার অনুভূত হচ্ছে শীত। ক্রমেই নিম্নমুখী পারদ। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকার পাশাপাশি তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। তবে বিপদ যাচ্ছে না। কারণ, ফের বৃষ্টির কাঁটায় জেরবার হতে পারে শীত।হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আপাতত বেশ কিছুদিন থিতু হবে শীত। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৫ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করবে। সকালের দিকে ঘন কুয়াশা থাকলেও বেলায় ধীরে ধীরে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। রাতেও ক্রমেই কমবে তাপমাত্রা। জেলাগুলিতেও পারদ ক্রমেই নিম্নমুখী।২০ জানুয়ারি অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়াও ২১ জানুয়ারি এবং ২২ জানুয়ারি উত্তরের পাঁচটি জেলায় অর্থাৎ, দার্জিলিং,কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দুই বঙ্গেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তাই একটানা শীতের দেখা আপাতত নেই বললেই চলে এমনটাই বলছে হাওয়া অফিস।তবে, আবহবিদরা বলছেন শীত নিয়ে উৎফুল্ল হওয়ারও কিছু নেই। কারণ ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট বাড়বে। যার জেরে আটকাবে উত্তুরে হাওয়া। বাড়বে পূবালী হাওয়ার দাপট সাগর থেকে জলীয় বাষ্প ঢুকবে। গরম পূবালী হাওয়া ও শীতল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার সংঘাতে বৃষ্টি শুরু হবে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই বেড়েছে রাতের তাপমাত্রা। ১২.৯ ডিগ্রি থেকে তা বেড়ে হয়েছে ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কাল পর্যন্ত রাজ্যে শীতের আমেক বজায় থাকবে, এমনটাই জানিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

জানুয়ারি ১৯, ২০২২
রাজ্য

মাঘের শীত এবার বাংলার গায়ে! ঠান্ডায় কাঁপছে উত্তর থেকে দক্ষিণের জেলাগুলো

মেঘ, বৃষ্টি কাটিয়ে ছন্দে ফিরেছে শীত। মাঘের শুরুতে বাঘা শীতের আশায় বুক বেঁধেছে বাঙালি। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার সারা দিন আকাশ প্রধানত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়নি।হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, জাঁকিয়ে শীত আরও দিন দুয়েক স্থায়ী হবে। তবে শুক্রবার উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার জন্য বৃষ্টি হতে পারে। এই বৃষ্টিপাত শুরু হলে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত, বেশ কয়েকদিন দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কেটে যাবে। দেখা মিলবে রোদেরও। মঙ্গলবার রাতে, আরও তাপমাত্রা নামার সম্ভাবনা। কলকাতায়, এদিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও নামতে পারে তাপমাত্রা এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।হাওয়া অফিস আরও জানিয়েছে, ২১ তারিখ উপকূলের কাছাকাছি জেলা দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। ২০ তারিখ পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রার কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নেই। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে তাপমাত্রা বাড়বে অর্থাৎ ঠান্ডা একটু কমবে। কলকাতার ক্ষেত্রেও রাতের তাপমাত্রা ২০ তারিখের পর থেকে বাড়বে। ফলে, ফের শীত-ছুট হতে পারে।উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে মঙ্গলবার শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে। ১৯ জানুয়ারি দার্জিলিং, কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টি হবে। ২০ জানুয়ারি উত্তরের পাঁচটি জেলা, দার্জিলিং,কালিম্পং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি এই জায়গাগুলোয় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২১ তারিখে উত্তরবঙ্গের সব জায়গাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও।

জানুয়ারি ১৮, ২০২২
রাজ্য

পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট কাটতেই নামছে পারদ, কাঁপছে বঙ্গ

পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটতেই ফের কলকাতা শহরে নামল তাপমাত্রা।কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে বঙ্গবাসী। গত দুদিনে প্রায় ৩ ডিগ্রি মতো তাপমাত্রা নেমেছে। রবিবার রাতের তামমাত্রাও অনেকটা কমেছে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমবে।পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাটলেই শীত যে আবার ফিরে আসবে তা আগেই জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। বৃষ্টি কমতেই তাই ফের স্বমহিমায় শীত। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। সকালের দিকে থাকবে কুয়াশা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৩ ডিগ্রি এবং ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে।ঝঞ্ঝার ফলে গত সপ্তাহে শীতের প্রভাব অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বৃষ্টিও হয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে জেলাগুলিতে। বৃষ্টি হয়েছে শিলিগুড়ি, দার্জিলিং কালিম্পঙেও। তবে সেই প্রভাব কাটতেই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে। তাপমাত্রাও নামতে শুরু করে। গত দুদিন ধরে তাপমাত্রা প্রায় ধারাবাহিক ভাবে নেমেছে। শুক্রবারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রির আশপাশে, সেখানে সোমবার এই তাপমাত্রা হয়েছে ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে যা দুই ডিগ্রি কম।

জানুয়ারি ১৭, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

চন্দননগরে একই পরিবারের ৩ সদস্যের রহস্যমৃত্যু, তদন্তে নেমেছে পুলিশ

চন্দননগর, ৩০ মে: হুগলির চন্দননগরে বৃহস্পতিবার সকালে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকলো স্থানীয় বাসিন্দারা। একই পরিবারের তিন সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ছড়িয়েছে ব্যাপক উত্তেজনা। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন পরিবারের কর্তা, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের কিশোর পুত্র। সূত্রের খবর, এদিন সকালে চন্দননগরের শ্রীপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে তিনজনের নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, সকালবেলা দরজা না খোলায় সন্দেহ জাগে প্রতিবেশীদের। তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করে।সূত্রের খবর, বুধবার ভোর ২টার দিকে চন্দননগর থানা কোলুপুকুর গড়েরধর এলাকায় তিন পরিবারের সদস্যের অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তারা প্রতিমা ঘোষ (৪৬) এবং তার মেয়ে পৌষালী ঘোষ (১৩) এর মৃতদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন, মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রতিমার স্বামী বাবলু ঘোষ (৬২) কে দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তদন্তের সময় পুলিশ জানতে পারে যে বাবলু একটি টিনের বাক্স তৈরির কারখানায় কাজ করত। তবে, কিছু সময়ের জন্য, সে টোটো (তিন চাকার গাড়ি) চালানো শুরু করে এবং অবশেষে তার বাড়িতেই একটি ছোট দোকান শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি হয় আত্মহত্যা, নয়তো পরিকল্পিত খুন। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বাড়ির ভিতরে কোনোরকম লুটপাটের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীদের অনেকেই জানিয়েছেন, পরিবারটি সদ্য আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল এবং কিছুদিন ধরে মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং ঘটনার ফরেনসিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ পরিবারের আত্মীয়-পরিজন ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।চন্দননগর কমিশনারেটের এক উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানান, আমরা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছিআত্মহত্যা, পারিবারিক কলহ, অথবা বাইরের কোনো দুষ্কৃতীর হাত। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

আইসিকে কদর্য ভাষা অনুব্রতর, FIR, শেষমেশ ক্ষমা প্রার্থনা

তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হতেই রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। সেই অডিওর শোনা যাচ্ছে, বীরভূম জেলা তৃণমূল কোর কমিটির অন্যতম সদস্য অনুব্রত মণ্ডল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। দুদিন আগে এই অডিও ক্লিপটি যে কোনও কারণেই ভাইরাল হয়ে যায়। তারপরেই জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ সিং, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার বোলপুর রানা মুখোপাধ্যায় বৈঠক ডেকে আইসি লিটন হালদারকেও ডেকে পাঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর এসডিপিও রিকি আগরওয়াল সহ চার পুলিশ কর্তা। উল্লেখ্য, গতকালই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নাগরিক কমিটির ডাকে বোলপুর থানায় এক বিক্ষোভ কর্মসূচি নেওয়া হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা। অভিযোগ, আইসি লিটন হালদার বিভিন্ন জনের কাছ থেকে তোলাবাজি অর্থ দাবি করেন। অনুব্রত মণ্ডলকেও, এ ব্যাপারে সোচ্চার হতে দেখা যায়। যদিও এ ব্যাপারে পুলিশের তরফে কোন বক্তব্য জনসমক্ষে আসেনি। অনুব্রতর কদর্য বক্তব্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরই তীব্র নিন্দা হয় বিভিন্ন মহল থেকে। এমনকি বিজেপির রাজ্য শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব শাসকদলকে আক্রমণ করার হাতিয়ার পেয়ে যায়। একইসঙ্গে তৃণমূল দল থেকে নিজস্ব হ্যান্ডেলে অনুব্রত মণ্ডলের ঘটনার নিন্দা করা হয়। বলা হয় যে, অনুব্রত মণ্ডল একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন তার সঙ্গে আমাদের দল সম্পূর্ণ দ্বিমত প্রকাশ করছে। এবং এই মন্তব্যকে ও সমর্থন করছে না। পাশাপাশি, দল তাকে নির্দেশ দেয় যে আগামী চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে দল শোকজ নোটিশ জারি করবে। ইতিমধ্যে, পুলিশের তরফে একটি মুখবন্ধ খামে চিঠি এসে পৌঁছায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। অন্যদিকে, বোলপুর থানায় বিএনএস এর ৭৫, ১৩২, ২২৪ ও ৩৫১ ধারায় অনুব্রতর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। পাশাপাশি, অডিও ক্লিপটি কিভাবে ভাইরাল হল তা নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানান, বীরভূমের পুলিশ সুপার আমানদীপ সিং। অবমাননাকর মন্তব্যের তদন্ত শুক্রবার বোলপুর দলীয় কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডল একটি ভিডিও বার্তায় সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, যে নানুরের শিঙ্গিতে তার এক দলীয় কর্মীর পা ভেঙে গুড়ো করে দেওয়া হয় সে ব্যাপারে তিনি আইসিকে দেখার অনুরোধ করেন। অনুব্রত বলেন, যে নুরুল নামে সেই দলীয় কর্মী গুরুতর অবস্থায় আহত হন। তারপর সেখান থেকে তাকে ফোন করা হয়। রাত্রি দশটায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। ফোনে ঘুম ভেঙে যাওয়ার পর, তিনি আইসিকে বলেন যে, ওই আহত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করুন। একইভাবে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ ও আইসিকে অনুরোধ করেন। কিন্তু আইসি তাকে একটি খারাপ কথা বলেন। যেটা তিনি আর বলতে চাইছেন না। তার পক্ষে (অনুব্রতর) এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি। তিনি ক্ষমা চাইছেন।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

বিধানসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন মোদী, শিক্ষা থেকে হিংসা উঠে এল ভাষণে

২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে দিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আলিপুরদুয়ারের জনসভায় কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসকে। এই সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ, মালদার হিংসার কথা, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ বলেও উল্লেখ করেছেন মোদী।বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদায় যা হল তা এখানকার সরকারের নির্মমতা। দাঙ্গায় গরিব মা-বোনেদের জীবনভরের পুঁজি লুঠ হয়ে গেল। তুষ্টিকরণের রাজনীতি চলছে, গুন্ডাদের খোলামেলা ছুট দিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারে থাকা লোকজন, পার্টির লোকজন মানুষের ঘর চিহ্নিত করে জ্বালাচ্ছে, পুলিশ দাঁড়িয়ে তামাশা দেখছে। এখানে কী পরিস্থিতি চলছে সেটা কল্পনাও করতে পারছি না। সরকার এভাবে চালাতে হয়? গরিব মানুষের উপর অত্যাচার হলেও সরকারের ভ্রুক্ষেপ নেই। সব কিছুতেই এখানে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। বাংলার মানুষেরও আর তৃণমূলের সরকারের উপর ভরসা নেই। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ একাধিক সংকটে জেরবার বলেও দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একের পর এক ইস্যু তুলে ধরতে থাকেন নরেন্দ্র মোদী। এই ইস্যুতেও তৃণমূল পরিচালিত সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন মোদী। তাঁর কথায়, সংকটে জেরবার বাংলা। প্রথম সংকট, একদিকে হিংসা-অরাজকতা চলছে। দ্বিতীয়, মা-বোনেদের ওপর অত্যাচার চলছে। তৃতীয়ত, যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে, কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। চতুর্থত, বেপরোয়া দুর্নীতি চলছে। পঞ্চম সংকট হল, এই রাজ্যের গরিবের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে শাসকদলের রাজনীতি।এরই পাশাপাশি অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা যা করেছে, সারা ভারতের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের লোকেদেরও তুমুল আক্রোশ ছিল। আপনাদের সেই আক্রোশ আমি ভালোই বুঝেছি। জঙ্গিরা আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মোছানোর দুঃসাহস দেখিয়েছিল। আমাদের বীর সেনারা ওদের সিঁদুরের শক্তি কী সেটা বুঝিয়ে দিয়েছে। আমরা জঙ্গি ঘাটি ধ্বংস করেছি। পাকিস্তান এটা কল্পনাও করতে পারিনি। জঙ্গিদের ঠিকানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমন শিক্ষা পাবে পাকিস্তান কল্পনাও করেনি। সন্ত্রাসের লালন পালন করে পাকিস্তান। ১৯৪৭-এর পর থেকেই ভারতে সন্ত্রাস পাকিস্তানের। বাংলাদেশে পাকিস্তানের অত্যাচার ভোলবার নয়। তিনবার পাকিস্তানকে ঘরে ঢুকে মেরেছে ভারত।SSC-এর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে এই রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। শাসকদল তৃণমূলের তাবড় নেতা-মন্ত্রী পাহাড়-প্রমাণ এই দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সভামঞ্চ থেকে রাজ্যের এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শিক্ষাক্ষেত্রে এমন দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে বেনজির নিশানা করেছেন নমো।প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, তৃণমূলের নেতারা এত বড় পাপ করেও নিজেদের ভুল মানতে নারাজ। হাজার-হাজার পরিবারকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলা হয়েছে। গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা বরবাদ। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেও তৃণমূলের নেতারা মানতে নারাজ। বাংলায় হাজার-হাজার শিক্ষকের কেরিয়ার বরবাদ। এখানকার যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘোরতর নিরাশা তৈরি হয়েছে। কর্মহীনতার যন্ত্রণায় ভুগছে যুবরা। বেপরোয়া দুর্নীতি নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে লাগাতার মানুষের বিশ্বাস কমছে।

মে ৩০, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবির! সাধুবাদ মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের

মেয়ের প্রথম বছরের জন্মদিনের মাধ্যমে মালদা মেডিকেল কলেজের ব্লাড ব্যাংকের রক্ত সংকট মেটানোর বার্তা নিয়ে এগিয়ে এলেন দাস পরিবার। বুধবার সকাল থেকেই বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম বছরের এই জন্মদিনকে ঘিরেই ধুমধাম ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকার দাস পরিবার। বাড়ির সামনেই জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভ্রাম্যমান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় দাস পরিবারের পক্ষ থেকে। আর এই রক্তদান শিবিরের প্রথম রক্তদাতা হিসাবে ছোট্ট এক বছরের আদিক্সা দাসের বাবা দেবাশীষ দাস স্বেচ্ছায় রক্তদান দিয়ে কর্মসূচি সূচনা করেন। এদিন এই জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল পর্যন্ত দেবাশীষবাবুর আত্মীয় পরিজন, বন্ধু বান্ধব মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন। দেবাশীষবাবুর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ , স্বাস্থ্য দপ্তর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।মালদা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাঃ পার্থপতিম মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এটি খুব ভালো উদ্যোগ। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন , নানান রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলি মাঝে মধ্যেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছেন। এদিন ইংরেজবাজার পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের পুরাটুলি এলাকায় এক বছরের ছোট্ট আদিক্সা দাসের জন্মদিন উপলক্ষেই এই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন তাঁর বাবা দেবাশীষ দাস। সঙ্গ দিয়েছিলেন দেবাশিষবাবুর স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং মালদা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে ভ্রাম্যমান ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্পের একটি বড় গাড়ি ছোট্ট মেয়ে আদিক্সা দাসের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হয়। সেই ভ্রাম্যমান গাড়িতেই স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশায় ব্যবসায়ী দেবাশিষবাবুর পুরাটুলি এলাকায় নিজস্ব বাড়ি রয়েছে। পরিবারের একমাত্র মেয়ে আদিক্সার জন্মদিনে এমন পরিকল্পনা অনেক আগে থেকে নিয়েছিলেন দেবাশিষবাবু এবং তার স্ত্রী কোয়েল সাহা দাস । আর সেটা কার্যত বাস্তবে করে দেখালেন। ব্যবসায়ী দেবাশিষ দাস বলেন, মেডিকেল কলেজে চিকিৎসারত রোগীর আত্মীয়েরা এক ইউনিট রক্তের জন্য কিভাবে ব্লাড ব্যাংকে ছোটাছুটি করছে। মাঝেমধ্যেই দেখি মেডিকেল কলেজের রক্তের সংকট রোগীদের হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে। আমিও একসময় হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাই এদিন মেয়ের জন্মদিনে এমন ভাবেই স্বেচ্ছায় রক্তদানের শিবির করেছি। আমার আত্মীয় পরিজন বন্ধু-বান্ধবরা অনেকেই এগিয়ে এসে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছবি দাস জানিয়েছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ । আমার এলাকার দাস পরিবার তাদের বাড়ির একমাত্র মেয়ের প্রথম জন্মদিনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন । তাদের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এভাবেই সকলকে এগিয়ে আসা উচিত।

মে ২৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

বিশ্বের তারকা ফুটবলার ইয়ামালকে মনে আছে? বিশ্বের অন্যতম বড় ক্লাবে ১০ নম্বর জার্সির মালিক ১৭ বছরেই

মনে আছে লামিল ইয়ামালের কথা? গত বিশ্বকাপ ফুটবলে স্পেনের নাবালক তারকা ফুটবলার। জার্মানীর মাঠ কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই ইয়ামাল। আগামী ২০৩১ পর্যন্ত ইয়ামাল লা লিগাতে বার্সেলোনার হয়েই খেলবেন। এই বয়সে মাল্টি মিলিয়নের চুক্তি হয়েছে বার্সেলোনার সঙ্গে ইমামালের। লা লিগাতে এই মরসুমে নিজে শুধু ১৮টি গোল করেননি, গোল করতে সহায়তা করেছেন আরও ১৩টি ক্ষেত্রে। বিপক্ষের ডিফেন্সে রীতিমতো ত্রাস সৃষ্টি করেন এই স্পেনের এই ফুটবলার। খ্যাতি পয়েছেন গত জার্মানী বিশ্বকাপে। স্পেনের দলে প্রয়োজনীয় ফুটবলার ছিলেন তিনি। জার্মানী শ্রম আইন অনুযায়ী ফাইন দিয়েও তাকে দলে রেখেছিল স্পেন। তার ফায়দাও পেয়েছিল তারা। এবার বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তি হয়েছে প্রতি মরসুমে তিনি পাবেন বেসিক হিসাবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো, যা বোনাস নিয়ে ২০ মিলিয়নে দাঁড়াতে পারে। বার্সেলোনার হয়ে তিনি ইতিমধ্যে মোট ১০৬টি গোল করেছেন। মাত্র ১৭ বছরবয়েস ইয়ামাল যে অর্থ পাচ্ছেন তা যে কারও কাছে বড় স্বপ্ন। তা আগে কেউ পায়নি। তাছাড়া এই মরসুমে ইয়ামাল দলের ১০ নম্বর জার্সি পরবেন।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় গিয়ে তান্ডব, গ্রেফতার গুণধর ছেলে, ধুন্ধুমার কাণ্ড

শুরু মেমারিতে, যার শেষ হল বনগাঁতে। গুনধর ইঞ্জিনিয়ার ছেলে বাবা-মাকে নৃশংস ভাবে খুন করে পালিয়েছিল বনগাঁয়। সেখানে গিয়ে এলোপাথারি ছুরি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করেছে। তাকে জোর করে বের করার জন্য থানা আক্রমণ করেছে স্থানীয় ক্ষুব্ধ জনতা। পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। ধুন্ধুমার কাণ্ড। বুধবার সকালে গলার নলি কাটা অবস্থায় বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় বৃদ্ধ মা ও বাবার রক্তাত মৃতদেহ। মোস্তাফিজুর রহমান (৬৫) ও মমতাজ পারভীন (৫৫)। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের মেমারি পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিয়ারা মুক্তারবাগান এলাকায়। জোড়া খুনের খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার সায়ক দাস দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তবে মৃত দম্পতির ছেলে বাড়িতে না থাকায় পুলিশের সন্দেহ বাড়তে থাকে। তবে এটা যে খুনের ঘটনা তা নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত ছিল পুলিশ। খুনের পর বৃদ্ধ দম্পতিকে ঘর থেকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হয়েছিল। সেই কারণে গোটা নানা জায়গায় রক্তের দাগ দেখা গিয়েছে। রাতে দিকে এই ঘটনার আঁচ গিয়ে পড়ে সীমান্ত এলাকায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির ছেলে হুমায়ূন কবির বাইরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতো। হুমায়ুনের মানসিক সমস্যা আছে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তাছাড়া বাড়ির সিসিটিভির হার্ড ডিস্ক উধাও বলে জানা গিয়েছে। বৃদ্ধ দম্পতির দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছেন। এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বনগাঁ খান শরীফে ঢুকে বেশ কয়েকজনের ওপরে ছুরি নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় কয়েকজন আহত অবস্থায় বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ খান শরীফের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করে সংখ্যালঘুরা। জানা গিয়েছে, একদল বনগাঁ থানায় এসে আসামিকে ছাড়ানোর জন্য চেষ্টা করে এবং বনগাঁ থানায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কয়েকজনকে আটক করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনগাঁর এসপি দীনেশ কুমার। পরে পুলিশ জানতে পারে ওই যুবক মেমারিতে বাবা-মাকে খুন করে বনগাঁয় এসে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে।বনগাঁ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সাংবাদিকদের জানান, আক্রমণকারী যুবকের নাম হুমায়ন কবির। বয়স ৩৫ বছর, বাড়ি বর্ধমানের মেমারি। আজ সকালে এই ব্যক্তি তার বাবা-মাকে খুন করে এখানে এসেছে। তারা ছুরির আঘাতে চার জন আহত হয়েছে। এদিকে থানা ভাঙচুরের ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আঘাত পেয়েছেন একজন কনস্টেবল ও একজন এএসআই। এদিকে রাতেই মেমারি থানার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বনগাঁ থানায়।

মে ২৯, ২০২৫
রাজ্য

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, যুবকের মাথা ফাটিয়ে, হাত কেটে দিল গৃহবধূ

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের উপরে আক্রমণ ও তার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রতিবেশী গৃহবধূর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বনগাঁয়। প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে যুবকের চার বছরের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক। সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাওয়ায় যুবকের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া, ব্লেড দিয়ে হাত কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। শুধু যুবকের উপর হামলা করেই থামেনি প্রতিবেশী ওই গৃহবধূ। যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ওই গৃহবধূ তাদের বাড়ির খাবারে বিষ মিশিয়ে দিয়েছে এবং বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার সভাইপুর এলাকায়। সোমবার বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করে যুবক। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত গৃহবধূকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে পুলিশ।

মে ২৮, ২০২৫
রাজ্য

গভীর রাতে বোমাবাজি ও গুলি হরিহরপাড়ায়, জখম এক, গ্রেফতার ৪

সোমবার গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার অন্তর্গত নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, ওই রাতে একদল দুষ্কৃতী এলাকায় বোমাবাজি চালানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমউদ্দিন শেখ ওরফে কালুকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।গুলিতে তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সেই বিবাদের জেরেই এই হামলা বলে প্রাথমিক অনুমান। উল্লেখযোগ্য যে, দুই পক্ষই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত বলে এলাকাবাসীর দাবি।এই ঘটনায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত চলছে।হরিহরপাড়া থানার নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় বোমাবাজি ও গুলি চালানোর ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধারসহ চার জনকে গ্রেফতার করে বহরমপুর জেলা জজ আদালতে পাঠানো হলো। ধৃতদের তিনজনের বাড়ি নাজিরপুর পূর্বপাড়া এলাকায় একজনের বাড়ি চোয়া এলাকায়

মে ২৮, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal